ঢাকা,শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছে চাষী

চকরিয়ায় রাতে মৎস্য ঘেরে বিষ ঢেলে ৩৫ লাখ টাকার মাছ নিধন

ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষি হেলাল উদ্দিন বলেন, বদরখালী সমবায় কৃষি উপনিবেশ সমিতির মালিকানাধীন ছনুয়াপাড়া মিঠাপানির আগারখাল নামক ঘেরটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকায় সর্বোচ্চ ডাককারী হিসেবে দুইবছর মেয়াদে ইজারা পেয়েছেন আমার ভাই মহিউদ্দিন। তারপর আমরা দেড়লাখ টাকা খরচ করে ঘেরের চারিদিকে সংস্কার কাজ করি। গত জানুয়ারি মাসে ৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া, রুই, কাতাল, কালী বাউশ ও কাপ্ মৃগেলসহ মিঠাপানির বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা দিই। পাঁচ মাসে মাছের খাদ্য দিয়েছি আরও ১০ লাখ টাকার। ইতোমধ্যে  ঘেরের মাছগুলো বিক্রির উপযোগী হয়েছে।
এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতের যেকোনো সময় কতিপয় দুবৃর্ত্তরা আমাদের উত্থান সহ্য করতে না পেরে ইর্ষাণিত হয়ে পুরো ঘেরে বিষ ঢেলে দিয়েছে।
ভুক্তভোগী চাষি হেলাল উদ্দিন দাবি করেন, আমরা ঘেরটি ইজারা দেওয়ার সময় এলাকার আরও কিছু লোক ইজারা নিতে চেষ্টা করে। কিন্তু আমরা সর্বোচ্চ ডাককারী হিসেবে ঘেরটি পাবার পর থেকে তাঁরা আমাদের উপর ক্ষিপ্ত ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে ঘেরে বিষ ঢেলে দিয়ে আমাদের এতবড় ক্ষতি করেছে। আমরা মৎস্য ঘেরে ২২ লাখ টাকা পুঁজি বিনিয়োগ করেছি। মাঝগুলো বিক্রি করতে পারলে ৩২ থেকে ৩৫ লাখ টাকা পেতাম।
ঘটনাটি তিনি বদরখালী সমবায় ও কৃষি উপনিবেশ সমিতির সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছেন। তাদের পরামর্শে  এব্যাপারে থানায় মামলা করবেন জানান মৎস্য চাষি হেলাল উদ্দিন।
জানতে চাইলে বদরখালী সমবায় ও কৃষি উপনিবেশ সমিতির সম্পাদক মঈন উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি আমাকে ঘের ইজারাদার ও তাঁর ভাই মৌখিকভাবে জানিয়েছে। এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে আমরা বিষয়টি দেখবো৷ তিনি বলেন, ঘটনা সত্য হলে যতদুর সম্ভব চাষীকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, বদরখালীতে মৎস্য ঘেরে বিষ ঢেলে দিয়ে মাছ নিধনের ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেননি। তবে অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে তদন্তপুর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ##

পাঠকের মতামত: